সংসদে বস্ত্র আইনের খসড়া
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
দেশের বস্ত্রখাতকে সুসংহত ও সম্প্রসারিত করে টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন আইনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।
রোববার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে ‘বস্ত্র বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
পরে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সরকার বস্ত্র খাতে সরকারি, বেসরকারি, বৈদেশিক, বহজাতিক কোম্পানি, দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বসহ অন্য কোনো প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ নিতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী বস্ত্রশিল্পে ব্যবহার বা প্যাকেজিংয়ের জন্য আমদানি করা কাঁচামাল রপ্তানিবহির্ভূত বস্ত্রশিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রি বা বাজারজাত করা যাবে না।
খসড়া আইনে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কর্তৃত্বে বায়িং হাউজের নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে।
বস্ত্র শিল্পের জন্য আমদারি করা রং, রাসায়নিকসহ অন্য যে কোনো উপাদান যে কোনো পর্যায়ে বাজারজাত করার সময় আমদানিকারকের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার বিধান রাখা হয়েছে।
মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও আধুনিয়কায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি, নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ডিপ্লোমা ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সরকার প্রয়োজনে বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে বস্ত্র শিল্পকে প্রণোদনা দিতে পারবে খসড়া আইনে সেই বিধান রাখা হয়েছে।